নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৪০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বজুড়ে কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও ২ লাখ ৮০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। চীন থেকে শুরু হলেও এখন পর্যন্ত করোনা মহামারীতে সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের বেশির ভাগই আটলান্টিকের দুই পারের। খবর এএফপি ও বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রাত পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ৪০ লাখ ৫১ হাজার ৪৩১ জন নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩ লাখ ৯ হাজার ৬৯৮ জন যুক্তরাষ্ট্রের।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে স্পেনে ২ লাখ ২৩ হাজার ৫৭৮ জন, ইতালিতে ২ লাখ ১৮ হাজার ২৬৮ জন, যুক্তরাজ্যে ২ লাখ ১৬ হাজার ৫২৬ জন, ফ্রান্সে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৭৮২ জন নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের নতুন বিস্তার কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে রাশিয়া ও ব্রাজিলকে। দেশ দুটিতে যথাক্রমে ২ লাখ ৯ হাজার ৬৮৮ জন ও ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ভারতে কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪ হাজার ১৪৯ জন। চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩ হাজার ৯৯৪।
এদিকে গতকাল রাত পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২ লাখ ৭৯ হাজার ৭৩৪ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটি। মৃতের সংখ্যায়ও শীর্ষে
রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে মারা গেছেন ৭৮ হাজার ৭৯৯ জন। এছাড়া যুক্তরাজ্যে ৩১ হাজার ৬৬২ জন, ইতালিতে ৩০ হাজার ৩৯৫ জন, স্পেনে ২৬ হাজার ৪৭৮ জন, চীনে ৪ হাজার ৬৩৭ জন, ভারতে ২ হাজার ১১৪ জন নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মারা গেছেন।
পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে শনাক্ত রোগীদের এক-চতুর্থাংশ ও মৃত্যুর ঘটনায় এক-তৃতীয়াংশই যুক্তরাষ্ট্রে। চলতি বছরের শুরু থেকে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের বৈশ্বিক সংখ্যা ১০ লাখে উন্নীত হতে সময় লেগেছিল চার মাস। এর পরের ১০ লাখ রোগী শনাক্তে সময় লাগে ২ সপ্তাহ। পরের ১০ লাখ সংক্রমণে সময় লেগেছিল মাত্র ১২ দিন। এবার ১৩ দিনে আরো ১০ লাখ মানুষ প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে ভাইরাস মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র রীতিমতো নাস্তানাবুদ হলেও স্পেনসহ কয়েকটি দেশে মৃতের সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমে আসছে। তবে অনেক দেশ অর্থনীতি রক্ষার স্বার্থে চলমান লকডাউন শিথিল করায় কিংবা লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসার উদ্যোগ নেয়ায় ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির হালনাগাদ তথ্য বলছে, গতকাল রাত পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৮৫ হাজার ৫৯২ জন। তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি ২ লাখ ১২ হাজার ৫৩৪ জন, জার্মানিতে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ জন, স্পেনে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৫২ জন, ইতালিতে ১ লাখ ৩ হাজার ৩১ জন, চীনে ৭৯ হাজার ১৪৪ জন, ভারতে ১৯ হাজার ৩৫৮ জন সুস্থ হয়েছেন।