করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বিশ্বজুড়ে। এমতবস্থায় নিরাপত্তার স্বার্থে গৃহবন্দী সবাই। যাদের আগে থেকেই শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিস ও হৃদ রোগ আছে তাদের ৩০ মিনিট থেকে ৪০ মিনিট হাঁটার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। এসব রোগীদের করণীয় কী?
বেসরকারি একটি টেলিভিশনে রেড ক্রিসেন্ট হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সার্জারী বিশেষজ্ঞ ডা. আফরিন সুলতানা বলেন, যাদের শ্বাসকষ্ট আছে সবার থেকে দুরুত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। ফেস মাস্ক অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। আর মনে রাখতে হবে একই মাস্ক দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা যাবে না। আর মাস্ক ভিজে গেলে অবশ্যই ফেলে দিতে হবে। কাপড়ের তৈরি মাস্ক পড়লে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
এইসময় কোনভাবেই অসুস্থ হওয়া যাবে না। খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে সবকিছু নিয়ম মাফিকভাবে চলতে হবে। আর সাথে রাখতে হবে প্রয়োজনীয় ওষুধ।
ডায়াবেটিস ও হৃদরোগীদের বিষয়ে তিনি বলেন, এখন হোম কোয়ারেন্টিন অবস্থায় আছি আমরা অধিকাংশ মানুষ। এসব রোগীদের নিরাপদ দূরুত্ব বজায় রেখে হাঁটতে পারেন। এটা বাড়ির ছাদে হতে পারে। ছাদে যদি অধিক লোকসমাগম হয় সেক্ষেত্রে দুরুত্ব বজায় রেখে চলা ভালো। বাইরে হাঁটা শেষে অবশ্যই পোশাক পরিবর্তন করে নিয়ে হাত ভালো ভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। বাড়িতে থাকা অবস্থায় কিছু সময় পরপর হাঁটাচলা করতে পারেন। কষ্ট না হলে এক তলার সিঁড়ি বাইতে পারেন।
গর্ভবতী নারীদের বিষয়ে ডা. আফরিন সুলতানা বলেন, গর্ভবতী নারীদের করোনায় আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বেশি তা না। তবে তাদের যেহেতু শরীরের গঠন পরিবর্তন হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার পরিবর্তন আসে। তাই সচেতনতা সব থেকে বেশি নিতে হবে। এসময় জরুরি না হলে হাসপাতালে না যাওয়াই ভালো। আর চিকিৎসকের সাথে টেলিফোনের মাধ্যমে সবসময় যোগাযোগ রক্ষা করে নিরাপদে থাকার চেষ্টা করবেন।