দীর্ঘ ৯ ঘন্টা চেষ্টার পর বোন (হাড়) ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সফল অস্ত্রপচার সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তরাস্থ আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতালের অর্থপেডিক সার্জারী বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. নাবিল যোনায়েদ সিডনী। জটিল বোন (হাড়) ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর অপারেশনের পর গতকাল প্রতিনিধিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই দাবী করেন।
ডা. নাবিল যোনায়েদ সিডনী বলেন, ‘হাড়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের জীবন রক্ষার তাগিদে পূর্বে রোগীদের হাত-পা কেটে ফেলা হতো। কিন্তু, বর্তমানে চিকিৎসায় উন্নত প্রযুক্তির কল্যাণে এটি আর করতে হয়না। কেননা, এখন আক্রান্ত স্থানকে চিহ্নিত করে কেবলমাত্র নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গাকেই ফেলে দিয়ে আমরা সেখানে একটি হাড় সদৃশ বস্তু প্রতিস্থাপন করে দেই। এতে করে, মরণব্যাধি হতে রোগীকে মুক্ত করার পাশপাশি রোগীকে বড় ধরনের অঙ্গহানি থেকেও রক্ষা করা যাচ্ছে।’
উত্তরাতে প্রথমবারের মতো এমন জটিল অপারেশন শেষ করে বোন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এমন আশার কথা জানিয়েছেন ৩৮ বছর বয়সী এই অর্থপেডিক সার্জন। আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতালের পাশাপাশি উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালেও নিজ তত্ত্বাবধায়নে বোন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের ট্রিটমেন্ট করেন বলে জানান ডা. নাবিল যোনায়েদ সিডনী।
অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে অস্ত্রপচার পরবর্তী সময়ে দেহের অন্য জায়গাতেও ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে জানিয়ে ডা. সিডনী বলেন, ‘কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে এমনটা হয়ে থাকে। ফলে, এ নিয়ে আমরা কিছুটা শঙ্কায় থাকলেও রোগীকে নিবিড় পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করি।’ এ ধরনের জটিল রোগীর অপারেশনে প্রায় চার লক্ষ টাকার মতো খরচ হয় বলে জানিয়েছেন এই অর্থপেডিক সার্জন।