ফ্যাটি লিভার দুই ধরনের,
একটা হলো অ্যালকোহলিক লিভার ডিজিজ, যারা মদ্যপান করেন তাদের হয়– তাদের জন্য অ্যালকোহল বর্জনীয়।
অন্যটি নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ,যা হলে খাদ্যাভাস পরিবর্তন করতে হয়।
কেন হয়:
সাধারণতঃ শর্করা ও ফ্যাট বিপাকক্রিয়ায় নানা ধরনের অসামঞ্জস্যের কারণে এ রোগ হয়। তাই, ওজনাধিক্য,উচ্চরক্তচাপ,মেটাবলিক সিনড্রোম যেমন পলিসিস্টিক ওভারী সিনড্রোম, ডায়াবেটিস, পাকস্থলির সার্জারী, দ্রুত ওজন হ্রাস,হাইপোথাইরয়ডিজম, অন্ত্রে অতিরিক্ত ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি, অতিরিক্ত ট্রাইগ্লিসারাইড ইত্যাদি এর জন্য দায়ী।
লিভার বা যকৃতে যখন বেশি পরিমাণে ফ্যাট বা চর্বি জমে লিভারের কার্যক্ষমতা বাধাগ্রস্থ করে তখন তাকে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ বলে।আমাদের লিভার সাধারণত পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ চর্বি শোষণ করতে পারে। এর চেয়ে বেশি চর্বি জমা হলে ফ্যাট জমতে থাকে,ফল লিভার ডিজিজ।
খাবার কেমন হবে তা জানি:
প্রচুর পরিমাণে আঁশ আছে এমন শাকসবজি ও তাজা ফলমূল খেতে হবে। ফুলকপি, ব্রকলি, সবুজ শাক, অঙ্কুরোদগমসহ ছোলা বীজ ভালো। আমিষের উৎস হিসেবে নানা ধরনের মাছ -ডাল ও লো ফ্যাট দুধ।এছাড়া ব্ল্যাক কফি ও গ্রিন টি লিভারে চর্বি কমায় বলেও গবেষণায় পাওয়া গেছে।
প্রচুর ফল ও সবজি, ফাইবার যুক্ত খাবার,খুব কম পরিমাণে চিনি ও লবণ,ওমেগা ৩ তেলযুক্ত মাছ, -যেমন—ইলিশ, রুপচাঁদা, স্যামন, টুনা লিভারের চর্বি শোধনে সহায়ক। এর বাইরে নানা ধরনের বাদাম বিশেষ করে আখরোট,কাঠবাদাম, — ফ্যাটি লিভারের জন্য বিশেষভাবে উপকারী(পরিমান এ কম খাবেন)
নিয়ম মানতে হবেঃ
**এখন থেকে লোফ্যাট – লোক্যালরী ডায়েট করার অভ্যাস করুন।
**হাঁটা কোনভাবে বাদ দেওয়া যাবে না — ঘাম ঝরানো হাঁটা (৪০ মি — ১ ঘঃ)
**ভিটামিন ডি ঘাটতি যেন না হয় — এজন্য
সকাল ১১– বিকাল ৩ টার মধ্যে রোদে যাওয়া উচিত সবাইকে।
** খাবারের পরিমাণ জানতে ও ক্যালরী অনুযায়ী খাদ্যতালিকায় জন্য পুষ্টিবিদ এর পরামর্শ নিতে পারেন।
**ডাক্তার দেখাবেন নিয়মিতভাবে।
রেবেকা সুলতানা রুমা (পুষ্টি বিদ)
নিউজিল্যান্ড ডেইরি প্রডাক্ট বাংলাদেশ লিমিটেড এবং
ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান এস আই বি এল -হাসপাতাল,ঢাকা।