আমি ওয়ার্ল্ড মিটারে চোখ রাখি নিয়মিত। ভারত এবং পাকিস্তানে মৃত্যুর হার বেড়েছে অথচ আমাদের কমেছে অথবা কম দেখানো হচ্ছে। গার্মেন্টস আর বাজার খুলে দেবার পর মসজিদও খুলে দেবার দাবি উঠেছিল। সরকার একটুও দেরি করেনাই গণদাবি মেনে নিতে। তবে এ সিদ্ধান্তটা পিঠ বাঁচানোর জন্য। মৃত্যুর সংখ্যা দু’একদিন কম দেখানো গেলেও বেশিদিন চেপে রাখা যাবে না। মসজিদ চালু হবার পর সংখ্যা কিছু বেশি দেখানো সহজ হবে। রাজনীতির নানা সমীকরণ থাকে।
এখন আমি কী করব? আমার কি মসজিদে যাওয়া উচিত হবে? করোনা পেসেন্ট ডিল করি বলি বাসায় যাই না গত পনের দিন। আগামীকাল দুইদিনের জন্য বাসায় ফিরব। পরিবারের সুরক্ষার কথা ভেবেই বাসায় যাই না। মুসলিম উম্মাহ ও তো একটা পরিবারের মত। মানুষের ক্ষতির কারণ হতে পারি জেনেও মসজিদে যাবার মত বিবেকহীন মানুষ আমি না।
এখন আপনারা কি করবেন? মসজিদে যান, মনের শান্তি মিটায়ে নামাজ পড়েন। এখন যেহেতু যা হবার হবে নীতিতে চলছে সবকিছু, মরলে মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ার তৃপ্তি নিয়ে মরেন।
তবে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে পারেন। মানুষ নামের কলঙ্ক লোভি গার্মেন্টস মালিকরা লোভ সামলাতে না পারলেও অনেক মার্কেট কিন্তু মানুষের কথা ভেবেই খুলবে না। এতটুকু মানবিকতাও তো এখন প্রায় দুষ্প্রাপ্য। তারাবি আর জুম্মাতে যে পরিমান মানুষ হয় তাতে নিয়ম মানা কোনভাবেই পসিবল হবে না। ওয়াক্তিয়া নামাজেও কম মানুষ যাওয়া উচিত নাহলে ডিসট্যান্স মেইনটেইন হবে না।
এখন মানুষের জীবনের কথা ভেবে যদি মসজিদে নামাজ পড়ার তৃপ্তিটা একটু বিসর্জন দেন তবে কি ঈমান হুমকির মুখে পড়বে? মসজিদতো চালু থাকছেই, আপনি না গেলেও অনেকেই যাবে।
আর যদি হার্ড ইমিউনিটির কথা বলেন, সেটার জন্য অনেক মূল্য দেয়া লাগবে। এটলিস্ট দশকোটি মানুষ আক্রান্ত হওয়া লাগবে। আর সেখান থেকে ০.৫% মারা গেলেও কয়েক লাখ লাশ ভার বইতে হবে আমাদের। সাবধানতা পরিহার করার সময় আসেনি এখনো।
ডা. মেহেদী হাসান
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ