ভুয়া ডাক্তারের বাসায় ‘করোনা রোগীর ক্লিনিক’

কোয়াক হান্ট

এক যুগ ধরে ছিলেন হোমিও চিকিৎসক। গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে সেজেছেন স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত চিকিৎসাবিজ্ঞানের উচ্চ ডিগ্রিধারী ডাক্তার। দেশে করোনা প্রকোপ শুরু হওয়ার পর নিজের বাসায় চালু করলেন করোনা রোগীদের জন্য দুই শয্যার হাসপাতাল। অবশেষে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ধরা পড়লেন তিনি।

তিনি হাটহাজারী উপজেলার পৌরসভার মেখল সড়কের বাসিন্দা মোহাম্মদ সোলাইমান। নিজের পরিচিতিতে যোগ করেছেন ‘অধ্যাপক’, ‘এমবিবিএস’, ‘এমফিল’, ‘পিএইডি’সহ নিউরোলজি ও মেডিসিনের ওপর অনেক ডিগ্রি।

বৃহস্পতিবার সকালে মেখল রোডের নাসরিন ভবনের নিচতলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ধরা পড়েন তিনি।

অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘কথিত ডাক্তার সোলায়মান দীর্ঘদিন ধরে এ অপচিকিৎসা দিয়ে আসছে এমন খবর ছিল আমাদের কাছে।’

‘অপচিকিৎসাতেই তিনি থেমে থাকেননি, গত দেড়মাস ধরে তিনি নিজের বাসায় করোনা রোগীর ক্লিনিকও চালু করেছেন। অভিযানে গিয়ে আমরা করোনা উপসর্গ থাকা দুই জন রোগীর ভর্তি দেখে অবাক হই,’ যোগ করেন তিনি।

রুহুল আমিন বলেন, ‘সোলায়মান স্বীকার করেছেন তিনি হোমিওপ্যাথি থেকে এমবিবিএস ডাক্তার সেজেছেন। তার ক্লিনিকে ভর্তি থাকা দুই জন রোগীর জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ছিল। এরপর, আমাদের সঙ্গে থাকা চিকিৎসক তাদেরকে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বাড়িতে থাকতে বলেছেন।’

ভুয়া ডাক্তারের কাছ থেকে মুচলেখা নিয়ে তার ক্লিনিকটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবু সৈয়দ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসাইন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘উনি যে পদবি ব্যবহার করে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন সে পদবির সপক্ষে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।’

দুই জন রোগীও আমরা ভর্তি পেয়েছি ওনার বাসায় যেটাকে উনি ক্লিনিক হিসেবে চালাচ্ছিলেন। আমরা রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি, বলেন তিনি।

সোলায়মানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মোবাইল নম্বরে কল দিলে তিনি তা রিসিভ করেননি।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *